২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পঞ্চম শ্রেণীর প্রস্তুতি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়-পর্বসংখ্যা-১০৩

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা
-

প্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা’ থেকে আরো ৫টি অল্প কথায় উত্তর দাও নিয়ে আলোচনা করব।

অল্প কথায় উত্তর দাও
প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত নিচে দেয়া হলো : ছাত্র-৮১%, ছাত্রী-৮৪%।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত এমন ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত হলো :
ছাত্র-২৮%, ছাত্রী-২৮%।
প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য কী?
উত্তর : আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীদের ঐক্যবদ্ধতার একটি বড় উদাহরণ। ১৯০৮ সালের ৮ মার্চ নারীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কারণে পরে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর ফলে নারীরা ভোটাধিকার পায় এবং তাদের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্য দূরীভূত হয়। এভাবে নারী আন্দোলনের জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন : নারী নির্যাতনের নেতিবাচক প্রভাবগুলো কী?
উত্তর : সমাজে নারী নির্যাতনের প্রভাব ক্ষতিকর। যেমন- পারিবারিকভাবে নারীরা নির্যাতিত হলে নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়। যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেসব পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া যেসব নারী শিল্পকারখানা, মাঠ-ঘাট, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, নির্যাতিত হলে তারা সময়মতো কাজে যেতে পারে না। ফলে পরিবার, সমাজ, দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন : নারী দিবসের বর্ণনা দাও।
উত্তর : ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে একটি সেলাইয়ের কারখানার নারী ও পুরুষ শ্রমিকগণ কারখানার মানবেতর পরিবেশ, অসম মজুরি ও ১২ ঘণ্টা কর্মদিবসের পরিবর্তে আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন শুরু করলে তাদের ওপর পুলিশি নির্যাতন শুরু হয় ও অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এই দিনটিকে সামনে রেখে ১৯০৮ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের হাজার হাজার নারীশ্রমিক শিশুশ্রম বন্ধ ও নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জার্মান নারী নেতা ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। পরে জাতিসঙ্ঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement